Friday, October 21, 2016


বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনালে কাপাসিয়া(উপজেলা)



বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উপজেলা পর্যায়েরর আজকের সেমিফাইনাল খেলায় আমাদের কাপাসিয়া,গাজীপুর সদর কে ১-০ গোলের ব্যাবধানে হারিয়ে পৌছে গেছে ফাইনালে।খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুর রাজবাড়ী সংলগ্ন শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে।
আমাদের কাপাসিয়া উপজেলাকে প্রতিনিধিত্ব করছে রায়েদ ইউনিয়নের ৯৩ নং বিবাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়(প্রধান শিক্ষক জনাব আফতাব উদ্দিন)
খেলার শুরু থেকেই রাজ্জাক,শরীফ,রনি,সৌরভরা আক্রমনাত্বক ফুটলবল খেলে প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে ফেলে দেয় কাপাসিয়া।প্রথমার্ধে গাজীপুর সদরে টিমের একটি মাত্র শর্ট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।কাপাসিয়ার গোলকিপার হাবিবুরের অসাধারন গোলকিপিং এর কথা না বললেই নয়।এছাড়া পুরো খেলা জুরেই ছিলো কাপাসিয়ার দখলে।টান টান উত্তেজনাকর খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কাপাসিয়া কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে এগিয়ে যায়।শেষপর্যন্ত ১-০ গোলে আমাদের প্রানপ্রিয় কাপাসিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা ৯৩ নং বিবাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল দল জিতে ফাইনালে পৌছে।
খেলোয়ারদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষন ও অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাই সহ জনাব জিয়া ও নাঈম। (বিশেষ করে বলছি যে এসকল খেলোয়ারদের কে যদি এখন থেকেই সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয় যে কোন উপায়ে,একদিন এরাই আমাদেরকে দেখাবে বিশ্বকাপের পথ! কর্তৃপক্ষ এদের জন্য সুযোগ সুবিধা করে দিবে এদের প্রতি নজর রাখবেন সেই কামনা! এসব কলিগুলো যেন ঝড়ে না না যায়।)
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উপজেলা পর্যায়েরর ফাইনাল খেলা আগামীকাল দুপুর ২:৩০ মিনিটে গাজীপুর রাজবাড়ী শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।আগামী কালকের খেলায় জয়ী হতে পারলেই ঈন শা আল্লাহ জেলা পর্যায়ে আমরা কাপাসিয়া গাজীপুর জেলার প্রতিনিধিত্ব করবো।সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।

আগামীদিনের সম্ভাবনাময় এইসকল উদীমান তারকাদের অনুপ্রেরনা দিতে চলে আসুন গাজীপুর রাজবাড়ী শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আগামীকাল শনিবার  দুপুর ২:৩০ মিনিটে।
-আমাদের প্রতিনিধি:জহির বাপ্পী

Thursday, October 6, 2016

কাপাসিয়ার একজন কৃতি সন্তান মরহুম এডভোকেট চৌধুরী মোঃ সাদির মোক্তার

    
এডভোকেট চৌধুরী মোঃ সাদির  ১লা অক্টোবর ১৯১৬ সালে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের মামরুদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম চৌধুরী মোহাম্মদ হাসান।যিনি সাদির মোক্তার নামেই সুপরিচিত ছিলেন।
তিনি ঢাকা থেকে মেট্রিক পাস করেন ১৯৩৯ সালে। এরপর ব্রিটিশ ভারতের কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম এ অবস্থিত হাইকোর্ট এর অধীনে মোক্তারি পাস করেন ১৯৪২ সালে। এরপর ঢাকা এসে আইন ব্যবসা শুরু করেন ব্রিটিশ শাসনের শেষ সময় ১৯৪৩ সালে। অল্প দিনেই আইন পেশায় সুনাম অর্জন করেন তিনি। পুরানো ঢাকার বংশাল মালিটোলায় তার চেম্বার স্থাপন করেন। যা প্রবীণ অনেকের স্মৃতিতে হয়তো এখনো আছে।
সুদীর্ঘ জীবন আইন পেশায় নিয়োজিত থাকার সময়ে ৬০ এর দশকে কয়েক বার তিনি ঢাকা মোক্তার বার কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যার নামকরন হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন এডভোকেটস বার এসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে আজীবন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ষাটের দশকে ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা সদর নর্থ সাব ডিভিশন (ঢাকা সদর উত্তর মহকুমা / বর্তমান গাজীপুর জেলা) আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শুকনো বটপাতায় রঙ তুলিতে আকা বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি আমার বাবাকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে। আর আমার বাবা দিয়েছিলেন আমাকে। যখন আমি প্রাইমারীর ছাত্র। পরম যত্ন আর ভালোবাসায় এখনো মাঝে মাঝে দেখি .--নাজমুল হাসান চৌধুরী পিন্টু

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এর প্রস্তাবকারী ছিলেন জনাব চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির মোক্তার এবং সমর্থনকারী ছিলেন জনাব হেকিম মোল্লা। জানা যায় জনাব সাদির মোক্তার বিভিন্ন জনসভায় বঙ্গতাজকে পরিচয় করিয়ে দিতেন । তারা সহ সকল কাপাসিয়া কালিগঞ্জ বাসীর প্রচেষ্টায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এম এন এ নির্বাচিত হন।
সেই সময় এই সুবিশাল এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল পায়ে হাটা !! উনি জনগণের এই কষ্ট অনুধাবন করে এই পশ্চাৎপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত ' শীতলক্ষ্যা ন্যাভিগেশন লঞ্চ কোম্পানি'। যার বহরে ছিল পান্না, বাবলা, ফাদিয়া, সান লাইট, চৌধুরী, নাজির, জলপিপি ইত্যাদি লঞ্চ সমূহ।
যেগুলি নারায়ণগঞ্জ থেকে তারাব, রুপগঞ্জ, কালিগঞ্জ, ঘোড়াশাল, পলাশ, চরসিন্দুর ইত্যাদি এলাকা হয়ে কাপাসিয়া, টোক, বর্মী ও হাতিরদিয়া পর্যন্ত চলাচল করত।
সে সময় রাস্তা ঘাট বিহীন এই বিশাল এলাকার জনগণের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই লঞ্চগুলো। অনুন্নত বিশাল এই এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের বিনা ভাড়ায় স্কুল কলেজে যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।
সমাজসেবক হিসাবেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তিনি। জনাব চৌধুরী মোঃ সাদির ১৯৬৫ সালে তৎ
কালীন কাপাসিয়া থানা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কাপাসিয়ার প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সর্বজনাব বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ফকির আব্দুল মান্নান, ডাঃ সানাউল্লাহ, চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন, রশিদ মিয়া, সামাদ মিয়া, মমতাজ খান ও আরও অনেকের সাথে একান্ত ভাবে থেকে বর্তমান 'কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ' প্রতিষ্ঠা করেন।
জানা যায় যে সকলের অনুরোধে জনাব চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির মোক্তার সাহেব তৎ
কালীন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটা বড় অংকের টাকা ডিপোজিট রাখেন এবং মাসের শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচের টাকার করপোরেট গ্যারান্টি দেন তার প্রতিষ্ঠান 'শীতলক্ষ্যা ন্যাভিগেশন' থেকে । এর ফলেই 'কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ' বাস্তব আলোর মুখ দেখে।
পাকিস্তান এর শেষ দিকে ১৯৭০ সালে নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য সনমানিয়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করেন তার মায়ের নামে 'আখতার বানু গার্লস হাই স্কুল'। যা বর্তমানে কাপাসিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ 'আখতার বানু হাই স্কুল' নামে সুপরিচিত।
তিনি জনগণের যোগাযোগ উন্নতির লক্ষে এলাকায় তার পিতার নামে 'হাসানপুর পোষ্ট অফিস' প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়াও তিনি বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ইত্যাদিতে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন ও জন কল্যাণ মূলক বহু কাজ করে গেছেন।
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পাননি
সন্তানাদিঃ উনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক ছিলেন ।উনার দুই মেয়ে মারা গেছেন বর্তমানে ১ মেয়ে ও ৩ ছেলে জীবিত আছেন।
ছেলে-মেয়েদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
১) মরহুম ফওজিয়া সুলতানা চৌধুরী বেবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স।
মিরপুর কলেজ এর প্রফেসর থাকা অবস্থায় মারা যান। স্বামী উচ্চ পদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। একমাত্র ছেলে ফয়সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় পি এইচ ডি করছেন।

২) মরহুম ফাদিয়া সুলতানা চৌধুরী ফাদিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স
জেলা অতিরিক্ত জাজ অবস্থায় মারা যান। স্বামী অ্যাডভোকেট ,জাতীয় পার্টির নেতা। উনার ২ মেয়ে

৩) নাজমুল হাসান চৌধুরী পিন্টু    
স্কুলঃ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা
কলেজ ঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা  
বিশ্ববিদ্যালয় ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স
ব্যাবসায়ী, চেয়ারম্যান, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা

*জগন্নাথ কলেজে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
*কাপাসিয়ায় ১৯৮৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে যুক্ত । শ্রদ্ধেয় নেতা খালেদ খুররম ও হজরত আলী মাস্টারের নির্দেশে ছাত্রলীগের কর্মীত্ব চুকিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হন ।
১৯৮৪ সালের ২২ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ সংগ্রহ করেন ।
*প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য পরে   দিন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ 


*বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
 *সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ম্যাট্রেস ম্যানুফেকচারারস এন্ড এক্সপোরটারস এসোসিয়েশন
*সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ফোম ম্যানুফেকচারারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন  
*উপদেষ্টা, বাংলাদেশ অ্যাডেসিভ ম্যানুফেকচারারস এসোসিয়েশন  
*উপদেষ্টা, ৭১ নং ওয়ার্ড পাঞ্চায়েত কমিটি, বংশাল থানা, ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা
*উপদেষ্টা, সি এম সাদির সৃতি গ্রন্থাগার, আড়াল বাজার, সন্মানিয়া ইউনিয়ন, কাপাসিয়া , গাজীপুর।
 *চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটি, আখতার বানু হাই স্কুল, সন্মানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর
* সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন, ঢাকা
*সাবেক সদস্য, গভর্নিং বডি, কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর
*সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ঔনার্স আসোসিয়েশন, ঢাকা
*২০১৩ সালের সংসদ উপ নির্বাচন ও ২০১৫ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ৪ কাপাসিয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন।
*বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত
৪) ফারজানা চৌধুরী মিতু, অনার্স মাস্টার্স, প্রফেসর, কালীগঞ্জ মহিলা কলেজ, গাজীপুর
৫) জহিরুল হাসান চৌধুরী মাসুম, ব্যাবস্যায়ী, ডিরেক্টর, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা
৬) জিয়াউল হাসান চৌধুরী সজীব, অনার্স মাস্টার্স, ব্যবসায়ী, ডিরেক্টর, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা

স্বাধীনতার পরে তিনি ও তার একমাত্র বড় ভাই কাপাসিয়ার সন্মানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাদির চৌধুরী বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে আসুস্থ হয়ে পরেন এবং পরবর্তীতে উভয়েই কাছাকাছি সময়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৭ শে জুলাই ৬১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ২৭ শে জুলাই ছিল মরহুম এডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির সাহেবের ৩৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী।


Wednesday, September 28, 2016

একনজরে হান্নান শাহর বর্ণাঢ্য জীবন


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু সাইদ মতিউল (আ স ম )  হান্নান শাহ গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার
 ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফকির আবদুল মান্নান ১৯৬৫-৬৮ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। 
তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন।
 বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী আ স ম হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিগ্রেড কমান্ডার, চট্টগ্রামের মিলিটারি একাডেমির কমান্ডেন্ট, যশোর স্কুল অব ইনফ্রেন্টি অ্যান্ড টেকটিক্স এর প্রধান প্রশিক্ষক, পাকিস্তানের কোয়েটার আর্মি কলেজ অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিংক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পালন করেন হান্নান শাহ।
 ১৯৮১ সালে ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা সদস্যর হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গুনিয়া থেকে প্রেসিডেন্টের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসেন হান্নান শাহ। 
এইচ এম এরশাদ সরকার হান্নান শাহকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। তিনি সরকারের সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি) ও বিএডিসির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে বিএডিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। রাজনৈতিক জীবনে শুরুতে ১৯৮৩ সালে হান্নান শাহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৮৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এবং ১৯৯৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
 ১/১১ এর কঠিন সময়ে খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আ স ম হান্নান শাহ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দলের সংস্কারপন্থী অংশের কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্র এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সামনে এসে সাহসী কণ্ঠে কথা বলে দেশ-বিদেশে দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে আ স ম হান্নান শাহ দলীয় সবোর্চ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তিনি এই পদে পুনর্নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর ৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হান্নান শাহ। খালেদা জিয়ার সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে আ স ম হান্নান শাহ কয়েকবার কারাগারে যান। একইভাবে বর্তমান সরকারের আমলেও তাকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। হান্নান শাহ ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। তিনি কাপাসিয়ায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্কুল কলেজ,রাস্তা-ঘাট নির্মান সহ অগনিত কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন।ফকির মজনু শাহ সেতু তাঁর একটি বড় প্রমান। তিনি গাজীপুর তথা কাপাসিয়ার উন্নয়নের রূপকার ছিলেন। 

আ স ম হান্নান শাহ আজ মঙ্গলবার (২৭/০৯/২০১৬) ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তথ্যসূত্রঃ কালেরকন্ঠ 


Thursday, September 22, 2016

IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ ।।



IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ
নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদান করছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত                                                         খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

পরম করুনাময় অসীম দয়াময় আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ,অদ্য ২২/০৯/২০১৬ ইং রোজ বৃহস্পতিবার IAFS Foundation এর পক্ষ থেকে নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।কমলাপুরে উনার চেম্বারে ফয়সালকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে আজ থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।বৃত্তি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন IAFS Foundation এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ্।

Tuesday, September 20, 2016

SPECIAL মালাই চা | TEA MASTER | TOKE BAZAR KAPASIA,GAZIPUR

টোক নয়নের বাজারের মালাই চা।অসাধারন স্বাদের চা ও মালাই !
চা বিত্রেতা তার শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় এক সাথে ১৫-২০ কাপ চা তৈরী করে।দেখতে ও মজা লাগে খাইতেও মজা লাগে!! 
যদিও মালাইটা রিযিকে জুটে নি এখনো।সামনে খাওয়ার ইচ্ছা আছে !!
ভিডিও : হাফিজুল মামার কাছ থেকে সংগ্রহকৃত !! (সর্বস্বত্ব সংগ্রহকৃত)
মালাইঃ ৫০ টাকা বাটি।
চাঃ৫/১০ টাকা।
অবস্হান : কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নয়নের বাজার।



Monday, September 19, 2016

সড়ক দূর্ঘটনা । প্রতিরোধ । উদ্যোগ । রায়েদ মধ্যপাড়া স্বপ্ন ক্লাবের উদ্যেগ !!


রায়েদ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ।মুচীবাড়ি থেকে রায়েদ বাজার হয়ে-সিংহশ্রী যাবার রাস্তার পাশেই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্হান।কিন্তু রাস্তায় যে স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে সেটা একেবারেই পরিকল্পনাহীন।এদিক দিয়ে মূলত সি এন জি,অটো,রিসকা,টমটম,মোটর সাইকেল চলাচল করে।রাস্তায় নেই কোন সতর্কবানী সম্বলিত সাইনবোর্ড।স্পিড ব্রেকারের ও রং উঠে গেছে।চোখে পড়ে না ! প্রায় সময় এখানটাতে ঘটে দূর্ঘটনা।ইতোমধ্যে এই স্হানে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গেছেন ২ জন।অহত হয়েছেন অনেকে।এবারের কুরবানীর ঈদে বেশ কয়েকবার এখানে দূর্ঘটনা ঘটেছে।আহত হয়েছেন কয়েকজন।মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো ! ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অত্র এলাকার স্বপ্ন ক্লাবের তরুন সদস্য (হাফিজুল,জনি,বাপ্পী,তানজিল,সোহাগ)তাদের নিজেদের উদ্দ্যেগে স্পিড ব্রেকারে রং করার ব্যবস্হা করেন।
দূর্ঘটনা এড়াতে এটাও পর্যাপ্ত নয়।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যেন তারা অত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে পরিকল্পনা মোতাবেক সুন্দর করে রাস্তার দুইপাশে স্পিড ব্রেকার ও সাইনবোর্ডের ব্যাবস্হা করেন।

স্বপ্ন হবে বাস্তব-সংগঠনের স্লোগান নিয়ে অত্র এলাকার তুরুনেরা সুন্দর হাসি-খুশি ও আনন্দময় একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন!

Sunday, September 4, 2016

Beautiful Gazipur, Kaniya Time village

Sunday, July 17, 2016

Tajuddin Ahmad || তাজউদ্দীন আহমদ || বঙ্গতাজ : স্মৃতিবিজরিত বসতবাড়ি

ভিডিওটি মূলত তাজউদ্দীন আহমদ এর জন্মস্হান কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামের বাড়ির চিত্র নিয়ে তৈরী করার চেষ্টা করেছিলাম গত বছর।এবছর ২৩শে জুলাই এ মহান নেতার ৯১ তম জন্মদিবস।জন্মদিবসে নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভিডিওটি আবার আপলোডড করা হলো।

ক্যমেরা : বাপ্পী ও জনি

বিঃদ্রঃভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন আশাবাদী।।

Wednesday, July 13, 2016

MAKING OF PADDY FIELD || BEAUTIFUL BANGLADESH || AGRICULTURE

Saturday, June 4, 2016

কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান আবদুল বাতেন খান ,বীর প্রতীক

স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক এই আয়োজন।

আবদুল বাতেন খান, বীর প্রতীক
বীর যোদ্ধা
রাতে আবদুল বাতেন খান ও তাঁর সহযোদ্ধারা নিঃশব্দে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করেন। তারপর ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে যান সামনে। তাঁদের লক্ষ্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘাঁটি। রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানিদের মাইন ফিল্ডে পড়ে তাঁর কয়েকজন সহযোদ্ধা আহত হন। এতে তিনি দমে যাননি বা মনোবল হারাননি।
সব বাধা উপেক্ষা করে আবদুল বাতেন খান ও তাঁর সহযোদ্ধারা আক্রমণ করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীও প্রতিরোধ শুরু করে। গোলাগুলিতে রাতের আকাশ লাল হয়ে ওঠে। তুমুল যুদ্ধ চলতে থাকে। সকালে শত্রুসেনাদের ওপর তাঁরা বিপুল বিক্রমে চড়াও হন। তাঁদের বিক্রমে পাকিস্তানি সেনারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা পেছন দিকে সরে যায়। নতুন স্থানে তারা অবস্থান নেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে বিরাট এলাকা।
পরে পাকিস্তানি সেনারা নতুন শক্তি সঞ্চয় করে পাল্টা আক্রমণ চালায়। আবদুল বাতেন খানসহ মুক্তিযোদ্ধারা এমন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতই ছিলেন। সাহসিকতার সঙ্গে তাঁরা পাকিস্তানিদের পাল্টা আক্রমণ মোকাবিলা করেন। পাকিস্তানিরা তাঁদের অবস্থানে ব্যাপক হারে গোলা ছোড়ে। বিস্ফোরিত গোলার ছোট-বড় স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন তাঁর কয়েকজন সহযোদ্ধা। কিন্তু তাঁরা দখল করা জায়গা থেকে সরে যাননি।
এ ঘটনা সালদা নদীতে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন সালদা নদী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত। ১৯৭১ সালে সালদা এলাকায় ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা। নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানিরা একপর্যায়ে সালদা রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি তৈরি করে। রেলস্টেশন এলাকার চারদিকে ছিল মাইন ফিল্ড এবং পর্যবেক্ষণ পোস্ট।
মুক্তিযুদ্ধকালে সালদা এলাকায় অসংখ্য যুদ্ধ সংঘটিত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক দিন পরপর পাকিস্তানিদের আক্রমণ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি তাঁরা বড় ধরনের আক্রমণ চালান। চূড়ান্ত আক্রমণের আগে পাকিস্তানিদের সব প্রতিরক্ষায় মুক্তিবাহিনীর মুজিব ব্যাটারির কামান দিয়ে অসংখ্য গোলা ছোড়া হয়। এর ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষার বিশেষত কয়েকটি বাংকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিভিন্ন স্থানে মাটির ওপরে ও নিচে ছিল পাকিস্তানিদের তিন স্তরের বাংকার।
সালদা নদী রেলস্টেশনের বাংকারগুলো ছিল রেলের বগি দিয়ে তৈরি। ওপরের স্তর যুদ্ধের জন্য। মধ্যম স্তর গোলাবারুদ রাখাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য। নিচের স্তর ছিল বিশ্রামের জন্য। মুক্তিবাহিনীর ছোড়া কামানের গোলায় দু-তিনটি বাংকার সম্পূর্ণ ধ্বংস ও কয়েকটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গোলার আঘাতে কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা নিহত ও আহত হয়।
আবদুল বাতেন খান চাকরি করতেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘এ’ (আলফা) কোম্পানিতে। রেজিমেন্টের অবস্থান ছিল কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে। তখন তাঁর পদবি ছিল ল্যান্স নায়েক। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি তাঁর ইউনিটের সঙ্গে শমশেরনগরে ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর খালেদ মোশাররফের (বীর উত্তম, পরে মেজর জেনারেল) নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভীবাজার জেলার কয়েক স্থানে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। পরে দুই নম্বর সেক্টরের সালদা নদী সাবসেক্টরে যুদ্ধ করেন। ধনদইল গ্রাম, নয়নপুরসহ বিভিন্ন স্থানের যুদ্ধে অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্বের জন্য আবদুল বাতেন খানকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ১১০। গেজেটে তাঁর নাম আবদুল বাতেন।
আবদুল বাতেন খান স্বাধীনতার পর ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে হাবিলদার হিসেবে অবসর নেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল (মিয়াবাড়ি) গ্রামে। বর্তমানে তিনি এখানেই বসবাস করেন। তাঁর বাবার নাম সামসুদ্দিন খান, মা হাসুনি বেগম। স্ত্রী হেনা বেগম। তাঁদের দুই ছেলে, দুই মেয়ে।
সূত্র: আবদুল বাতেন খান বীর প্রতীক, মেজর (অব.) ওয়াকার হাসান বীর প্রতীক, আমিনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস, সেক্টর ২।
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান 

rashedtৎ@prothom-alo.info

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো ও  মৌমিতা সেন

Friday, June 3, 2016

কাপাসিয়ার শহীদ মোঃ দৌলত হোসেন মোল্লা বীর বিক্রম

স্বাধীনতার চার দশক উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজন থেকে সংগ্রহ কৃত।

শহীদ মো. দৌলত হোসেন মোল্লা, বীর বিক্রম
নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তাঁকে
ভারতের হলদিয়া নৌবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করল মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজ ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’। পলাশ জাহাজে আছেন মো. দৌলত হোসেন মোল্লা। তিনি জাহাজের ক্রুম্যান। তাঁদের লক্ষ্য, খুলনায় পাকিস্তানি নৌঘাঁটি দখল করা। মুক্তিবাহিনীর দুটি জাহাজের সঙ্গে আছে মিত্রবাহিনীরও একটি জাহাজ। খুলনার রূপসা নদীতে শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি আসামাত্র ঘটল এক আকস্মিক বিপর্যয়। এ সময় আকাশে দেখা গেল তিনটি জঙ্গি বিমান। সেগুলো জাহাজের ওপর চক্কর দিয়ে চলে গেল সাগরের দিকে। তারপর আবার এগিয়ে এল জাহাজগুলো লক্ষ্য করে। বোমা বর্ষণ করল। প্রথম ধাক্কাতেই বিধ্বস্ত হলো পদ্মা। পলাশের ইঞ্জিনরুমে জ্বলছে দাউ দাউ আগুন। একটু পর পলাশও ডুবতে থাকল। ডেকে শহীদ নৌমুক্তিযোদ্ধাদের লাশ পড়ে আছে। আহত যোদ্ধারা কাতরাচ্ছেন মৃত্যুযন্ত্রণায়। গুরুতর আহত মো. দৌলত হোসেন মোল্লা অনেক কষ্টে পানিতে ঝাঁপ দিলেন।
এ ঘটনা ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বরের। জাহাজ দুটি ভারত থেকে রওনা হয় ৭ ডিসেম্বর। সেদিন দুপুরে পৌঁছে খুলনা শিপইয়ার্ডের কাছে। মিত্রবাহিনীর বিমান শত্রু পাকিস্তানিদের জাহাজ ভেবে ভুল করে পদ্মা ও পলাশ জাহাজে বোমাবর্ষণ করে। আত্মঘাতী এই বোমা হামলায় দুটি জাহাজেরই সলিলসমাধি হয়। এতে অনেক নৌমুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত মো. দৌলত হোসেন মোল্লা, রুহুল আমিন (বীরশ্রেষ্ঠ), সিরাজুল মওলা (বীর উত্তম), আফজাল মিয়া (বীর উত্তম)সহ আরও কয়েকজন সাঁতরে নদীতীরে যান। কিন্তু সেখানে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরেক বিপদ। নদীতীরের বিভিন্ন স্থানে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহযোগী রাজাকার। মো. দৌলত হোসেন মোল্লা নদীতীরের যে স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হন, সেখানে তিনি একটু পর দেখতে পান তাঁর সহযোদ্ধা আহত সিরাজুল মওলাকে। আহত দৌলত হোসেন নদীতীরে পড়ে ছিলেন। তিনি মারাত্মক আহত হয়েছিলেন। ক্রলিং করে বা হেঁটে যেতে পারছিলেন না। দৌলত মওলাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। সন্তানের মুখটা দেখা হলো না।’ আহত মওলা চেষ্টা করেছিলেন মো. দৌলত হোসেন মোল্লাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পারেননি। মওলা সামনে যেতে সক্ষম হন। তিনি বেঁচে যান। মো. দৌলত হোসেন মোল্লাকে পরে রাজাকাররা ধরে ফেলে। আহত দৌলত হোসেনকে রাজাকাররা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। রুহুল আমিনকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়।
মো. দৌলত হোসেন মোল্লা চাকরি করতেন পাকিস্তান নৌবাহিনীতে। ১৯৭১ সালের মার্চে ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। মুক্তিবাহিনীর নৌ উইংয়ে যোগ দেওয়ার আগে স্থলযুদ্ধেও অংশ নেন। অক্টোবরে মুক্তিবাহিনীর নৌ উইং গঠিত হলে পলাশ গানবোটে তাঁকে গান ক্রুম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর কয়েকটি নৌ অপারেশনে তিনি অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে সাহস ও বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য মো. দৌলত হোসেন মোল্লাকে মরণোত্তর বীর বিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তাঁর বীরত্বভূষণ নম্বর ১২৮। গেজেটে নাম মো. এইচ. মোল্লা।
শহীদ মো. দৌলত হোসেন মোল্লার পৈতৃক বাড়ি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার চরখামের গ্রামে। বাবার নাম মো. আয়েত আলী মোল্লা। মা তাহেরা খাতুন। স্ত্রী আমেনা বেগম। তাঁর এক মেয়ে। স্ত্রী ও মেয়ে বর্তমানে ঢাকার ৪২৯ নয়াটোলায় (চেয়ারম্যান গলি) বসবাস করেন।
সূত্র: স্মৃতি বেগম (মো. দৌলত হোসেন মোল্লার মেয়ে) এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, ব্রিগেডভিত্তিক ইতিহাস।
 
গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান
 
trrashed@gmail.com


Wednesday, May 25, 2016

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম ও প্রতিষ্ঠা সাল

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম ও প্রতিষ্ঠা সাল
v ঢাকা —             ১৭৭২ সাল।
v মুন্সীগঞ্জ —          ১৯৮৪ সাল।
v নরসিংদী –         ১৯৮৪ সাল।
v নারায়ণগঞ্জ —       ১৯৮৪ সাল।
v মানিকগঞ্জ —        ১৯৮৪ সাল।
v ময়মনসিংহ —       ১৭৮৭ সাল।
v গাজীপুর —          ১৯৮৪ সাল।
v কিশোরগঞ্জ —       ১৯৮৪ সাল।
v জামালপুর —        ১৯৮৪ সাল।
v শেরপুর —          ১৯৮৪ সাল।
v নেত্রকোণা —        ১৯৮৪ সাল।
v টাঙ্গাইল —          ১৯৬৯ সাল।
v ফরিদপুর —         ১৮১৫ সাল।
v গোপালগঞ্জ —       ১৯৮৪ সাল।
v শরীয়তপুর –        ১৯৮৪ সাল।
v মাদারীপুর —        ১৯৮৪ সাল।
v রাজবাড়ি —         ১৯৮৪ সাল।
v চট্টগ্রাম —           ১৬৬৬ সাল।
v কক্সবাজার –        ১৯৮৪ সাল।
v বান্দরবন —         ১৯৮১ সাল।
v রাঙামাটি –          ১৮৬০ সাল।
v রাঙামাটি—           ১৮৬০ সাল।
v খাগড়াছড়ি —        ১৯৮৪ সাল।
v ফেনী –              ১৯৮৪ সাল।
v ব্রাহ্মণবাড়িয়া –       ১৯৮৪ সাল।
v চাঁদপুর —           ১৯৮৪ সাল।
v রাজশাহী –          ১৭৭২ সাল।
v নাটোর –            ১৯৮৪ সাল।
v নওগাঁ –             ১৯৮৪ সাল।
v নওয়াবগঞ্জ —        ১৯৮৪ সাল।
v বগুড়া —            ১৮২১ সাল।
v পাবনা —            ১৮৩২ সাল।
v সিরাজগঞ্জ —        ১৯৮৪ সাল।
v জয়পুরহাট —        ১৯৮৪ সাল।
v রংপুর —            ১৮৭৭ সাল।
v লালমনিরহাট –      ১৯৮৪ সাল।
v কুড়িগ্রাম –           ১৯৮৪ সাল।
v নীলফামারী –        ১৯৮৪ সাল।
v গাইবান্ধা—           ১৯৮৪ সাল।
v পঞ্চগড় —           ১৯৮০ সাল।
v দিনাজপুর—         ১৭৮৬ সাল।
v খুলনা —            ১৮৮২ সাল।
v ঠাকুরগাঁও —        ১৯৮৪ সাল।
v সাতক্ষীরা —         ১৯৮৪ সাল।
v বাগেরহাট —        ১৯৮৪ সাল।
v যশোর —            ১৭৮১ সাল।
v ঝিনাইদহ —         ১৯৮৪ সাল।
v নড়াইল—            ১৯৮৪ সাল।
v মাগুরা —            ১৯৮৪ সাল।
v কুষ্টিয়া—             ১৮৬৩ সাল।
v চুয়াডাঙ্গা —          ১৯৮৪ সাল।
v মেহেরপুর —        ১৯৮৪ সাল।
v বরিশাল –           ১৭৯৭ সাল।
v ঝালকাঠি —         ১৯৮৪ সাল।
v পিরোজপুর –        ১৯৮৪ সাল।
v পটুয়াখালী –         ১৯৮৪ সাল।
v বরগুনা —           ১৯৮৪ সাল।
v ভোলা —            ১৯৮০ সাল।
v সিলেট —            ১৭৭৫ সাল।
v হবিগঞ্জ —           ১৯৮৪ সাল।
v মৌলভীবাজার –      ১৯৮৪ সাল।
v নোয়াখালী –         ১৮২১ সাল।
v লক্ষীপুর —          ১৯৮৪ সাল।
v কুমিল্লা —           ১৭৯০ সাল।
vচাঁদপুর —           ১৯৮৪ সাল।