Wednesday, September 28, 2016

একনজরে হান্নান শাহর বর্ণাঢ্য জীবন


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু সাইদ মতিউল (আ স ম )  হান্নান শাহ গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার
 ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফকির আবদুল মান্নান ১৯৬৫-৬৮ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। 
তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন।
 বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী আ স ম হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিগ্রেড কমান্ডার, চট্টগ্রামের মিলিটারি একাডেমির কমান্ডেন্ট, যশোর স্কুল অব ইনফ্রেন্টি অ্যান্ড টেকটিক্স এর প্রধান প্রশিক্ষক, পাকিস্তানের কোয়েটার আর্মি কলেজ অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিংক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পালন করেন হান্নান শাহ।
 ১৯৮১ সালে ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা সদস্যর হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গুনিয়া থেকে প্রেসিডেন্টের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসেন হান্নান শাহ। 
এইচ এম এরশাদ সরকার হান্নান শাহকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। তিনি সরকারের সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি) ও বিএডিসির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে বিএডিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। রাজনৈতিক জীবনে শুরুতে ১৯৮৩ সালে হান্নান শাহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৮৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এবং ১৯৯৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
 ১/১১ এর কঠিন সময়ে খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আ স ম হান্নান শাহ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দলের সংস্কারপন্থী অংশের কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্র এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সামনে এসে সাহসী কণ্ঠে কথা বলে দেশ-বিদেশে দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে আ স ম হান্নান শাহ দলীয় সবোর্চ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তিনি এই পদে পুনর্নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর ৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হান্নান শাহ। খালেদা জিয়ার সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে আ স ম হান্নান শাহ কয়েকবার কারাগারে যান। একইভাবে বর্তমান সরকারের আমলেও তাকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। হান্নান শাহ ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। তিনি কাপাসিয়ায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্কুল কলেজ,রাস্তা-ঘাট নির্মান সহ অগনিত কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন।ফকির মজনু শাহ সেতু তাঁর একটি বড় প্রমান। তিনি গাজীপুর তথা কাপাসিয়ার উন্নয়নের রূপকার ছিলেন। 

আ স ম হান্নান শাহ আজ মঙ্গলবার (২৭/০৯/২০১৬) ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তথ্যসূত্রঃ কালেরকন্ঠ 


Thursday, September 22, 2016

IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ ।।



IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ
নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদান করছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত                                                         খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

পরম করুনাময় অসীম দয়াময় আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ,অদ্য ২২/০৯/২০১৬ ইং রোজ বৃহস্পতিবার IAFS Foundation এর পক্ষ থেকে নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।কমলাপুরে উনার চেম্বারে ফয়সালকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে আজ থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।বৃত্তি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন IAFS Foundation এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ্।

Tuesday, September 20, 2016

SPECIAL মালাই চা | TEA MASTER | TOKE BAZAR KAPASIA,GAZIPUR

টোক নয়নের বাজারের মালাই চা।অসাধারন স্বাদের চা ও মালাই !
চা বিত্রেতা তার শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় এক সাথে ১৫-২০ কাপ চা তৈরী করে।দেখতে ও মজা লাগে খাইতেও মজা লাগে!! 
যদিও মালাইটা রিযিকে জুটে নি এখনো।সামনে খাওয়ার ইচ্ছা আছে !!
ভিডিও : হাফিজুল মামার কাছ থেকে সংগ্রহকৃত !! (সর্বস্বত্ব সংগ্রহকৃত)
মালাইঃ ৫০ টাকা বাটি।
চাঃ৫/১০ টাকা।
অবস্হান : কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নয়নের বাজার।



Monday, September 19, 2016

সড়ক দূর্ঘটনা । প্রতিরোধ । উদ্যোগ । রায়েদ মধ্যপাড়া স্বপ্ন ক্লাবের উদ্যেগ !!


রায়েদ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ।মুচীবাড়ি থেকে রায়েদ বাজার হয়ে-সিংহশ্রী যাবার রাস্তার পাশেই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্হান।কিন্তু রাস্তায় যে স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে সেটা একেবারেই পরিকল্পনাহীন।এদিক দিয়ে মূলত সি এন জি,অটো,রিসকা,টমটম,মোটর সাইকেল চলাচল করে।রাস্তায় নেই কোন সতর্কবানী সম্বলিত সাইনবোর্ড।স্পিড ব্রেকারের ও রং উঠে গেছে।চোখে পড়ে না ! প্রায় সময় এখানটাতে ঘটে দূর্ঘটনা।ইতোমধ্যে এই স্হানে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গেছেন ২ জন।অহত হয়েছেন অনেকে।এবারের কুরবানীর ঈদে বেশ কয়েকবার এখানে দূর্ঘটনা ঘটেছে।আহত হয়েছেন কয়েকজন।মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো ! ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অত্র এলাকার স্বপ্ন ক্লাবের তরুন সদস্য (হাফিজুল,জনি,বাপ্পী,তানজিল,সোহাগ)তাদের নিজেদের উদ্দ্যেগে স্পিড ব্রেকারে রং করার ব্যবস্হা করেন।
দূর্ঘটনা এড়াতে এটাও পর্যাপ্ত নয়।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যেন তারা অত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে পরিকল্পনা মোতাবেক সুন্দর করে রাস্তার দুইপাশে স্পিড ব্রেকার ও সাইনবোর্ডের ব্যাবস্হা করেন।

স্বপ্ন হবে বাস্তব-সংগঠনের স্লোগান নিয়ে অত্র এলাকার তুরুনেরা সুন্দর হাসি-খুশি ও আনন্দময় একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন!

Sunday, September 4, 2016

Beautiful Gazipur, Kaniya Time village