কাপাসিয়ায় অতিবর্ষনে কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েক দিনের অতি বর্ষনে মানুষের ২০ বাড়ী ঘর সম্পুর্ন ধ্বসে পড়েছে। ধ্বসে পড়ার সময় মাটি চাপায় আশকর আলী ও ফখরুল ইসলাম নামে দুই বয়োবৃদ্ধ ব্যাক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।
সরেজমিনে পরিদর্শনে জানাযায়, অতি বৃষ্টিতে গত দুইদিনে দুর্গাপুর ইউনিয়নের নাশেরা গ্রামের জসিমউদ্দিন সিকদার, কফিলউদ্দিন সিকদার, ফখরুল ইসলাম, বেগুনহাটি গ্রামের সেলিম খন্দকার, নুরজ্জামান খন্দকার, আব্দুল আজিজ খন্দকারের একাধিক মাটির ঘর আকস্মিক ধ্বসে পড়ে। তাছাড়া পাশ্ববর্তী বাড়ৈগাঁও গ্রামের কৃষক আশকরআলী, মোমেন মিয়া, ইসমাইল দেওয়ান, ফেটালিয়া গ্রামের মতিউর রহমান, রাওনাট গ্রামের ফাইজুল মোল্লা, আনোয়ার মোল্লার ঘর বাড়ী ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে গেছে। মাটির দেয়াল ধ্বসে আসবাপত্রের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমান কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী জানায়।
ঘর বাড়ী ধ্বসের সংবাদ পেয়ে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা, ভাইস চেয়ারম্যান এড. রেজাউর রহমান লস্কর মিঠু, দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ ইউনুস আলী মোল্লা বিধ্বস্ত ঘর- বাড়ী পরিদর্শন করেছেন। একমাত্র আশ্রয়স্থল মাটির ঘরটি ভেঙ্গে পড়ায় দরিদ্র কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিধ্বস্ত ও স্মৃতিবিজড়িত ঘরের পাশে দাড়িয়ে অনেক মানুষকে বিলাপ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয় তারাগঞ্জ কলেজের অধ্যাপক ও কাপাসিয়ার ইতিহাস গবেষক শামসুলহুদা লিটন জানান, মাটির ঘর কাপাসিয়ার ঐতিহ্য। দিন দিন এঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। অতি বৃষ্টি ও পরপর ভ’মিকম্পের কারনে মাটির ঘর ভেঙ্গে পড়ছে এবং আরো ঘর ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে।
-অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটন, সাব-এডিটর, বিজ্ঞাপন চ্যানেল
No comments:
Write commentsNote: Only a member of this blog may post a comment.