Sunday, October 29, 2017

আদর্শবান হোমিও চিকিৎসক - ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী

আমার দেখা ডাক্তার স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তীঃ-
০২/১১/২০১৩ ইং তারিখ বিকাল দুইটার দিকে ভার্সিটি শেষ করে আমার এলাকার বড় ভাই হোমিওপ্যাথি ডক্টর ডাঃ রিটন এর নিকট ফোন করি।উনিই ছিলেন আমার একমাত্র মানসিক সাপোর্ট দান করি ।বলি ভাই উত্তরার ডাক্তার খন্দকার মাহবু্বুর রহমান দেশের পরিস্থিতির কারণে দেশের বাহিরে ,উনার ছেলেদের নিকট চলে গেছেন ,এখন আমি কি করব?বলে রাখি উনার নিকট চিকিৎসার ধরন ছিল এক ফাইল ঔষুধ দিত ৩ দিন খেতে হত এক মাসে আর কোন ঔষুধ নাই ফলে আমি একটু আনইজি ফিল করতাম। ডাক্তার রিটন বলল তুমি থাক কই? আমি উত্তর দিলাম ভাই বাসাবো খালাম্মার বাসায় ।উনি বললেন তুমি কমলাপুর ডাক্তার স্বপন চক্রবর্ত্তীকে দেখাও ,তুমি যেই টাইপের ঔষুধ খাও উনি এইরকম ঔষুধ দেন ।আমি ডাক্তার স্বপন চক্রবর্ত্তী সাহেবকে ফোন করি ,উনার ওয়াইফ ফোন ধরেন বলেন বিকাল ৫ টার পরে উনি চেম্বারে আসবেন আমি দুই ঘন্টা ওয়াইট করি । উনার সাইনবোর্ডে লিখা ষ্টুড ফার্স্ট(গোল্ড মেডেলিষ্ট) জটিল রোগির চিকিৎসক। 
ভিসি আব্দুল মান্নানের নিকট হতে গোল্ড মেডেল গ্রহণ করছেন ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী


উনি আসেন ৫ টার পর সালাম দিলাম দেখি একটু মুডি টাইপের ,কম কথা বলেন ।উনার রুমে প্রবেশের সাথে সাথে  উনি জিজ্ঞেস করলেন আপনার সমস্যা কি? আমি বললাম লিভার ইনক্রিয়েজ ও আই বি এস ( আমায়শা ২ বছর ভুগছিলাম) ।উনি লিখতে লাগলেন পুরাতন সকল রোগের ইতিহাস ,বংশের কার কি রোগ ,বড় কোন রোগে ভোগছেন কিনা? কি খেতে পছন্দ করেন,জিহবা দেখেন ইত্যাদি লিখতে লিখতে রোগের পরিমাণ দাড়ালো ২৩টি ।উনি পরে বললেন আপনার এত রোগ আপনি এখন আমার নিকট কোনটার চিকিৎসা করবেন ? আমি বললাম লিভার ইনক্রিয়েজ এবন আইবিএস এর চিকিৎসা করতে চাচ্ছি।

উনি বললেন আপনাকে ১-১.৫ বছর লাগতে পারে এমনকি এর চেয়ে বেশী সময় ধরে আপনি কি রেগুলার কন্টিনিউ করতে পারবেন ? আমি বললাম স্যার পারব যেখানে বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছেন আপনি যতদিন বাচবেন এইভাবেই বাচবেন আমি কেন পারব না ? পারব স্যার। উনি ঔষুধ দিলেন এখন প্রথমবার ভিজিট আসল ৭০০/- টাকা,এরপর থেকে এখনো পর্যন্ত ৩০০/- টাকা করেই নিয়ে থাকেন ।আমার কাছে ছিল মাত্র ২০০/- টাকা ।নিতো সামান্য রেগে বললেন যিনি পাঠালেন তিনি কি আমার ভিজিটের ব্যাপারে বলেন নাই।আমি উত্তর দিলাম স্যার আমি উনার কাছে জানলাম,কিছুক্ষন আগে পনাকে ফোন দেওয়ার আগে। আমি বললাম স্যার আমি চিকিৎসা করানোর জন্যআসছি পরবর্তীতে যখন আসব অবশ্যই টাকা পরিশোধ করব।


 আমার কনফিডেন্স ছিল যে আমি উনাকে কথা দিয়ে কনভেন্সড করে ফেলব ।উনি ঔষুধ সহ আমার কাছে বললেন ৫০০/- টাকা দিয়েন যেহেতু ছাত্র ।আমি ঔষুধ কন্টিনিউ করলাম প্রথম দিকে আমার সব রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।কিছুটা অসহ্য ও লাগছিল ।ঔষুধ খেলাম ৩ মাস পর দেখলাম কিছুটা ভাল লাগল ৬ মাসে আরো কিছুটা ব্যাটার । ১৫ মাসে আমার আইবিএস ৮০% কমে গেল ।আলহামদুলিল্লাহ এখন আর নেই। এর ভিতর বাকীরোগ এর চিকিৎসা শুরু হয়। উনার চিকিৎসার ধরণ হলো রোগ যত হউক না কেন উনি কম্বাইন করে ২ ফাইল ঔষুধ দেন যা ১৪-১৫ দিন যাবে এবং প্রতিদিন সকালে খালিপেটে খেতে হয় ৮/১০ ঝাকি দিয়ে । উনার নিকট চিকিৎসা করাতে গিয়ে দেখলাম উনি কোন নিষেধ দেন না বলে দেন যেইটা খেলে আপনার সমস্যা হয় সেইটা খাবেন না। কিন্তু মাংশ কম খেতে বলেন । আমি তাও অনেক মেইন্টেইন করেছি।মাছ মাংশ খেলে তা আগে ঝাকিয়ে রস ফেলে তারপর তা খেতাম ।আমি দুইবছর ভাল কিছু খেতে পারতাম না ।আলহামদুলিল্লাহ! এখন সব খাইতে পারি।দুধ খেলে ডিরেক্ট হয়ে যেত, এখন খেতে পারি।
আমার মেইন সমস্যা ছিল আইবিএস, সাইনোসাইটিস,নাকের সমস্যা, ঠাণ্ডা , কোল্ড এলার্জি, স্কিনে সমস্যা ,ব্যাকপেইন,রিং ওয়ার্ম, এনাল ফিশারের সমস্যা ছিল আলহামদুলিল্লাহ ২-১ টা রোগ ছাড়া ২১ টা রোগ থেকে আল্লাহ আমাকে শেফা দান করেছেন, উনার উছিলায়।আমি এখনো রেগুলার ট্রিটমেন্ট নিয়ে থাকি।  এরপর আমি প্রথম উনার নিকট একজন রোগি নিলাম জন্ডিস এর পরে লিভার এর সমস্যা ও কেন্সারের প্রাথমিক ষ্টেজে চলে গিয়েছিল উনাকে নিয়ে আসলাম ,পরে উনি চিকিৎসা করে আল্লাহর রহমতে সুস্থ হন পরে ল্যাবএইডে অনেকদিন চাকুরী ও করেন ।এখন উনার সাথে আর যোগাযোগ হয় না ।এরপর আমার রুমমেট আসিফের হাতে একটা গুটির মত শক্ত ছিল ,হাড় বাড়ার মত যা অনেক পুরাতন ছিল ২ ফাইল ঔষুধ খাওয়ার পর আলহামদুলিল্লাহ চলে যায় এরপর সে ঠান্ডার চিকিৎসা করেছিল এবং করছে,এরপর সে তার বোনকে নিয়ে এসেছিল। একবছর আগে শফিকুল ভাই রেগুলার স্কয়ারে ব্যাকপেইন এর চিকিৎসা নিতেন।উনি রেগুলার ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দিতেন ওয়াইটিং ফর ডাক্তার ইন স্কয়ার হসপিটাল। পরে আমি উনাকে ফোন দিলাম ।কথা হল উনি বললেন উনি ক্লাশ এইট থেকে এই ব্যাথা ,ডাক্তারকে ফোন দিলাম উনি বললেন দ্রুত দেড়টার মধ্যে আসেন ।আমি কুইজ মিস দিয়ে সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম ডাক্তার এর নিকট ডাক্তার সকল হিষ্টুরি শুনে ঔষুধ দিলেন ।আমি শফিক ভাইকে বললাম ভাই আপনার রোগ কি অবস্থা ৩ মাসের আগে আমাকে কিছু বলবেন না। ১৫ দিন ঔষুধ খাওয়ার পর উনি আমাকে ফোনে বলেন ইব্রাহীম আমিতো আগের থেকে অনেক ভাল আছি ।আজ ও উনার সাথে কথা হল আগের থেকে উনি অনেক ভাল আছেন । এর পর ক্লোজ বড় ভাই হাফিজুদ্দীন হাবিব ভাইকে নিয়ে আসি উনার নিকট।হাবিব ভাইকে ডাক্তার অপারেশন এর কথা বললে উনি খুবই ভয় পান তাই উনাকে নিয়ে আসলাম।  আজ তিনি অনেক রোগ থেকে অনেকটা সুস্থ ফিল করছেন ,উনার মেইন সমস্যা ছিল উনার প্রস্রাব অনেক ধেড়িতে হত , পুরাতন আমায়শার রোগে ভুগছিলেন ।আমি এইরকম অনেক রোগী এনেছি আলহামদুলিল্লাহ যারা ধৈর্য্যসহকারে চিকিৎসা করতে পেরেছেন তারা আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছেন । উনি একজন নীতিবান মানুষ ,আদর্শ ডাক্তার। উনার সাথে আমার এখন এইরকম সম্পর্ক আমি যদি কোন রোগি পাঠাই গিয়ে আমার নাম বললেই উনি জিজ্ঞেস করেন কাপাসিয়ার ইব্রাহীম কিনা? আমার রেফারেন্সে যারা যান উনাদেরকে উনি আলাদা একটা সম্মান করেন এবং রিপোর্ট ফাইলের উপরে লিখে রাখেন রেফারেন্স বাই ইব্রাহীম । কেউ ভাববেন না এরজন্য উনি আমাকে এক্সট্রা ফ্যাসিলিটি দেন।উনি খুবই নীতিবান মানুষ।অনেক কষ্টে উনাকে রাজি করিয়েছিলাম নটরডেমে পড়ুয়া একটি ছেলের স্কলারশীপ অর্থ প্রদান করার জন্য ,অর্থ প্রদান করি আমি নিজে।  ছেলেটির স্বপ্ন ডাক্তার হওয়া তাই উনাকে দেখিয়ে দেই এবং তাকে উনার আদর্শের কথা জানিয়ে দেই বলি উনার মত ডাক্তার হওয়ার চেষ্টা করবে।


 যদি কেউ কোন জটিল সমস্যায় ভোগেন আমি চাই প্রতিটা মানুষ উনার দ্বারা উপকৃত হউক  ।উনার যত রোগী আছেন আমাদের মত রোগীদের সফলতার গল্প শোনেই আসেন আজ উনার নিকট প্রচুর রোগী ।সিরিয়াল ছাড়া আসলে একটু কষ্ট পোহাতে হবে এইটা স্বাভাবিক।আমি একসময় হোমিওকে চিকিৎসা ই মনে করতাম না ,বলতাম কলের পানি খাওয়া এর চেয়ে ভাল , আমার শরীরের ওজন যতটুকু অত পরিমাণ এলুপ্যাথিক ঔষুধ খেয়েছিলাম।আজ এলুপ্যাথিক ঔষুধ খাওয়া ই হয় না । যদি কেউ উনার কাছে যেতে চান বা কেউ দীর্ঘদিন যাবত জটিল রোগে ভুগছে ভাল হচ্ছেনা তাহলে একবার দেখাতে পারেন ,সুস্থতার মালিক আল্লাহ উনি উছিলা।ক্যান্সারের রোগী যদি হয় প্রাথমিক ষ্টেজ হলে আনতে পারেন ।সব ভাইজা খাইয়া আসলে লাভ না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।ধৈর্য্য ধরে চিকিৎসা করতে হবে । আমি যে কোন সমস্যা হউক উনাকে আগে দেখাই । আমি আপনার জন্য উনার কাছে যেতে রাজি আছি আমাকে কিছুই করতে হবেনা ,আপনি যদি সুস্থ হন আমার জন্য দোয়া করবেন এইটাই আমার চাওয়া । আজ আমি জীবনে যদি কোন ডাক্তারের ভক্ত হয়ে থাকি ,তাহলে একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের ভক্ত হয়েছি ।তিনি হলেন ডাক্তার স্বপ্ন কুমার চক্রবর্ত্তী। ভাল থাকুন আপনি এইভাবেই সেবা দিয়ে যান সবাইকে ,আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা আমার নেই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমার লিখাটি ।

Friday, October 21, 2016


বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর ফাইনালে কাপাসিয়া(উপজেলা)



বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উপজেলা পর্যায়েরর আজকের সেমিফাইনাল খেলায় আমাদের কাপাসিয়া,গাজীপুর সদর কে ১-০ গোলের ব্যাবধানে হারিয়ে পৌছে গেছে ফাইনালে।খেলাটি অনুষ্ঠিত হয় গাজীপুর রাজবাড়ী সংলগ্ন শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে।
আমাদের কাপাসিয়া উপজেলাকে প্রতিনিধিত্ব করছে রায়েদ ইউনিয়নের ৯৩ নং বিবাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়(প্রধান শিক্ষক জনাব আফতাব উদ্দিন)
খেলার শুরু থেকেই রাজ্জাক,শরীফ,রনি,সৌরভরা আক্রমনাত্বক ফুটলবল খেলে প্রতিপক্ষকে চাপের মধ্যে ফেলে দেয় কাপাসিয়া।প্রথমার্ধে গাজীপুর সদরে টিমের একটি মাত্র শর্ট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।কাপাসিয়ার গোলকিপার হাবিবুরের অসাধারন গোলকিপিং এর কথা না বললেই নয়।এছাড়া পুরো খেলা জুরেই ছিলো কাপাসিয়ার দখলে।টান টান উত্তেজনাকর খেলার দ্বিতীয়ার্ধে কাপাসিয়া কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে এগিয়ে যায়।শেষপর্যন্ত ১-০ গোলে আমাদের প্রানপ্রিয় কাপাসিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা ৯৩ নং বিবাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল দল জিতে ফাইনালে পৌছে।
খেলোয়ারদের প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষন ও অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সবাই সহ জনাব জিয়া ও নাঈম। (বিশেষ করে বলছি যে এসকল খেলোয়ারদের কে যদি এখন থেকেই সুযোগ সুবিধা করে দেওয়া হয় যে কোন উপায়ে,একদিন এরাই আমাদেরকে দেখাবে বিশ্বকাপের পথ! কর্তৃপক্ষ এদের জন্য সুযোগ সুবিধা করে দিবে এদের প্রতি নজর রাখবেন সেই কামনা! এসব কলিগুলো যেন ঝড়ে না না যায়।)
উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উপজেলা পর্যায়েরর ফাইনাল খেলা আগামীকাল দুপুর ২:৩০ মিনিটে গাজীপুর রাজবাড়ী শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।আগামী কালকের খেলায় জয়ী হতে পারলেই ঈন শা আল্লাহ জেলা পর্যায়ে আমরা কাপাসিয়া গাজীপুর জেলার প্রতিনিধিত্ব করবো।সবার দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।

আগামীদিনের সম্ভাবনাময় এইসকল উদীমান তারকাদের অনুপ্রেরনা দিতে চলে আসুন গাজীপুর রাজবাড়ী শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে আগামীকাল শনিবার  দুপুর ২:৩০ মিনিটে।
-আমাদের প্রতিনিধি:জহির বাপ্পী

Thursday, October 6, 2016

কাপাসিয়ার একজন কৃতি সন্তান মরহুম এডভোকেট চৌধুরী মোঃ সাদির মোক্তার

    
এডভোকেট চৌধুরী মোঃ সাদির  ১লা অক্টোবর ১৯১৬ সালে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের মামরুদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম চৌধুরী মোহাম্মদ হাসান।যিনি সাদির মোক্তার নামেই সুপরিচিত ছিলেন।
তিনি ঢাকা থেকে মেট্রিক পাস করেন ১৯৩৯ সালে। এরপর ব্রিটিশ ভারতের কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম এ অবস্থিত হাইকোর্ট এর অধীনে মোক্তারি পাস করেন ১৯৪২ সালে। এরপর ঢাকা এসে আইন ব্যবসা শুরু করেন ব্রিটিশ শাসনের শেষ সময় ১৯৪৩ সালে। অল্প দিনেই আইন পেশায় সুনাম অর্জন করেন তিনি। পুরানো ঢাকার বংশাল মালিটোলায় তার চেম্বার স্থাপন করেন। যা প্রবীণ অনেকের স্মৃতিতে হয়তো এখনো আছে।
সুদীর্ঘ জীবন আইন পেশায় নিয়োজিত থাকার সময়ে ৬০ এর দশকে কয়েক বার তিনি ঢাকা মোক্তার বার কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যার নামকরন হয় ঢাকা মেট্রোপলিটন এডভোকেটস বার এসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর জন্মলগ্ন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবে আজীবন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ষাটের দশকে ঢাকা নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা সদর নর্থ সাব ডিভিশন (ঢাকা সদর উত্তর মহকুমা / বর্তমান গাজীপুর জেলা) আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
শুকনো বটপাতায় রঙ তুলিতে আকা বঙ্গবন্ধুর একটি ছবি আমার বাবাকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে। আর আমার বাবা দিয়েছিলেন আমাকে। যখন আমি প্রাইমারীর ছাত্র। পরম যত্ন আর ভালোবাসায় এখনো মাঝে মাঝে দেখি .--নাজমুল হাসান চৌধুরী পিন্টু

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এর প্রস্তাবকারী ছিলেন জনাব চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির মোক্তার এবং সমর্থনকারী ছিলেন জনাব হেকিম মোল্লা। জানা যায় জনাব সাদির মোক্তার বিভিন্ন জনসভায় বঙ্গতাজকে পরিচয় করিয়ে দিতেন । তারা সহ সকল কাপাসিয়া কালিগঞ্জ বাসীর প্রচেষ্টায় বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ এম এন এ নির্বাচিত হন।
সেই সময় এই সুবিশাল এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র উপায় ছিল পায়ে হাটা !! উনি জনগণের এই কষ্ট অনুধাবন করে এই পশ্চাৎপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন বিখ্যাত ' শীতলক্ষ্যা ন্যাভিগেশন লঞ্চ কোম্পানি'। যার বহরে ছিল পান্না, বাবলা, ফাদিয়া, সান লাইট, চৌধুরী, নাজির, জলপিপি ইত্যাদি লঞ্চ সমূহ।
যেগুলি নারায়ণগঞ্জ থেকে তারাব, রুপগঞ্জ, কালিগঞ্জ, ঘোড়াশাল, পলাশ, চরসিন্দুর ইত্যাদি এলাকা হয়ে কাপাসিয়া, টোক, বর্মী ও হাতিরদিয়া পর্যন্ত চলাচল করত।
সে সময় রাস্তা ঘাট বিহীন এই বিশাল এলাকার জনগণের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই লঞ্চগুলো। অনুন্নত বিশাল এই এলাকার শিক্ষা বিস্তারের জন্য ছাত্র ছাত্রীদের বিনা ভাড়ায় স্কুল কলেজে যাতায়াতের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।
সমাজসেবক হিসাবেও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তিনি। জনাব চৌধুরী মোঃ সাদির ১৯৬৫ সালে তৎ
কালীন কাপাসিয়া থানা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে কাপাসিয়ার প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গ সর্বজনাব বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রী ফকির আব্দুল মান্নান, ডাঃ সানাউল্লাহ, চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন আহমদ, অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন, রশিদ মিয়া, সামাদ মিয়া, মমতাজ খান ও আরও অনেকের সাথে একান্ত ভাবে থেকে বর্তমান 'কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ' প্রতিষ্ঠা করেন।
জানা যায় যে সকলের অনুরোধে জনাব চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির মোক্তার সাহেব তৎ
কালীন পূর্ব পাকিস্তান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটা বড় অংকের টাকা ডিপোজিট রাখেন এবং মাসের শিক্ষকদের বেতন ও অন্যান্য খরচের টাকার করপোরেট গ্যারান্টি দেন তার প্রতিষ্ঠান 'শীতলক্ষ্যা ন্যাভিগেশন' থেকে । এর ফলেই 'কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ' বাস্তব আলোর মুখ দেখে।
পাকিস্তান এর শেষ দিকে ১৯৭০ সালে নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য সনমানিয়া ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠা করেন তার মায়ের নামে 'আখতার বানু গার্লস হাই স্কুল'। যা বর্তমানে কাপাসিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ 'আখতার বানু হাই স্কুল' নামে সুপরিচিত।
তিনি জনগণের যোগাযোগ উন্নতির লক্ষে এলাকায় তার পিতার নামে 'হাসানপুর পোষ্ট অফিস' প্রতিষ্ঠা করেন।
এছাড়াও তিনি বহু স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ইত্যাদিতে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করেছেন ও জন কল্যাণ মূলক বহু কাজ করে গেছেন।
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পাননি
সন্তানাদিঃ উনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক ছিলেন ।উনার দুই মেয়ে মারা গেছেন বর্তমানে ১ মেয়ে ও ৩ ছেলে জীবিত আছেন।
ছেলে-মেয়েদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
১) মরহুম ফওজিয়া সুলতানা চৌধুরী বেবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স।
মিরপুর কলেজ এর প্রফেসর থাকা অবস্থায় মারা যান। স্বামী উচ্চ পদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। একমাত্র ছেলে ফয়সাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় পি এইচ ডি করছেন।

২) মরহুম ফাদিয়া সুলতানা চৌধুরী ফাদিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স
জেলা অতিরিক্ত জাজ অবস্থায় মারা যান। স্বামী অ্যাডভোকেট ,জাতীয় পার্টির নেতা। উনার ২ মেয়ে

৩) নাজমুল হাসান চৌধুরী পিন্টু    
স্কুলঃ ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, ঢাকা
কলেজ ঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকা  
বিশ্ববিদ্যালয় ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স মাস্টার্স
ব্যাবসায়ী, চেয়ারম্যান, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা

*জগন্নাথ কলেজে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
*কাপাসিয়ায় ১৯৮৩ সাল থেকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে যুক্ত । শ্রদ্ধেয় নেতা খালেদ খুররম ও হজরত আলী মাস্টারের নির্দেশে ছাত্রলীগের কর্মীত্ব চুকিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মী হন ।
১৯৮৪ সালের ২২ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ সংগ্রহ করেন ।
*প্রথমে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির সদস্য পরে   দিন কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ 


*বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
 *সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ম্যাট্রেস ম্যানুফেকচারারস এন্ড এক্সপোরটারস এসোসিয়েশন
*সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ ফোম ম্যানুফেকচারারস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন  
*উপদেষ্টা, বাংলাদেশ অ্যাডেসিভ ম্যানুফেকচারারস এসোসিয়েশন  
*উপদেষ্টা, ৭১ নং ওয়ার্ড পাঞ্চায়েত কমিটি, বংশাল থানা, ঢাকা সাউথ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা
*উপদেষ্টা, সি এম সাদির সৃতি গ্রন্থাগার, আড়াল বাজার, সন্মানিয়া ইউনিয়ন, কাপাসিয়া , গাজীপুর।
 *চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটি, আখতার বানু হাই স্কুল, সন্মানিয়া, কাপাসিয়া, গাজীপুর
* সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন, ঢাকা
*সাবেক সদস্য, গভর্নিং বডি, কাপাসিয়া ডিগ্রী কলেজ, কাপাসিয়া, গাজীপুর
*সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ রাবার গার্ডেন ঔনার্স আসোসিয়েশন, ঢাকা
*২০১৩ সালের সংসদ উপ নির্বাচন ও ২০১৫ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ৪ কাপাসিয়া আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন।
*বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত
৪) ফারজানা চৌধুরী মিতু, অনার্স মাস্টার্স, প্রফেসর, কালীগঞ্জ মহিলা কলেজ, গাজীপুর
৫) জহিরুল হাসান চৌধুরী মাসুম, ব্যাবস্যায়ী, ডিরেক্টর, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা
৬) জিয়াউল হাসান চৌধুরী সজীব, অনার্স মাস্টার্স, ব্যবসায়ী, ডিরেক্টর, ফোমেক্স গ্রুপ, ঢাকা

স্বাধীনতার পরে তিনি ও তার একমাত্র বড় ভাই কাপাসিয়ার সন্মানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল কাদির চৌধুরী বিভিন্ন অসুখে আক্রান্ত হয়ে আসুস্থ হয়ে পরেন এবং পরবর্তীতে উভয়েই কাছাকাছি সময়ে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ২৭ শে জুলাই ৬১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। ২৭ শে জুলাই ছিল মরহুম এডভোকেট চৌধুরী মোহাম্মদ সাদির সাহেবের ৩৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী।


Wednesday, September 28, 2016

একনজরে হান্নান শাহর বর্ণাঢ্য জীবন


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আবু সাইদ মতিউল (আ স ম )  হান্নান শাহ গাজীপুর জেলার কাপাসিয়ার
 ঘাগটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ফকির আবদুল মান্নান ১৯৬৫-৬৮ পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। 
তার ছোট ভাই শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন।
 বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনের অধিকারী আ স ম হান্নান শাহ ১৯৬২ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি থেকে কমিশন লাভ করেন। এরপর তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনানিবাসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিগ্রেড কমান্ডার, চট্টগ্রামের মিলিটারি একাডেমির কমান্ডেন্ট, যশোর স্কুল অব ইনফ্রেন্টি অ্যান্ড টেকটিক্স এর প্রধান প্রশিক্ষক, পাকিস্তানের কোয়েটার আর্মি কলেজ অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিংক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রশিক্ষকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে পালন করেন হান্নান শাহ।
 ১৯৮১ সালে ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনা সদস্যর হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গুনিয়া থেকে প্রেসিডেন্টের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসেন হান্নান শাহ। 
এইচ এম এরশাদ সরকার হান্নান শাহকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়। তিনি সরকারের সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি) ও বিএডিসির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
তিনি ১৯৮৩ সালে বিএডিসির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। রাজনৈতিক জীবনে শুরুতে ১৯৮৩ সালে হান্নান শাহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, ১৯৮৬-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এবং ১৯৯৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
 ১/১১ এর কঠিন সময়ে খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আ স ম হান্নান শাহ বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও দলের সংস্কারপন্থী অংশের কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্র এর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সামনে এসে সাহসী কণ্ঠে কথা বলে দেশ-বিদেশে দলের নেতাকর্মীদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে আ স ম হান্নান শাহ দলীয় সবোর্চ্চ ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তিনি এই পদে পুনর্নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর ৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হান্নান শাহ। খালেদা জিয়ার সরকারের পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে আ স ম হান্নান শাহ কয়েকবার কারাগারে যান। একইভাবে বর্তমান সরকারের আমলেও তাকে কয়েকবার কারাগারে যেতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩০টির বেশি মামলা রয়েছে। হান্নান শাহ ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। তিনি কাপাসিয়ায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্কুল কলেজ,রাস্তা-ঘাট নির্মান সহ অগনিত কাজের স্বাক্ষর রেখেছেন।ফকির মজনু শাহ সেতু তাঁর একটি বড় প্রমান। তিনি গাজীপুর তথা কাপাসিয়ার উন্নয়নের রূপকার ছিলেন। 

আ স ম হান্নান শাহ আজ মঙ্গলবার (২৭/০৯/২০১৬) ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তথ্যসূত্রঃ কালেরকন্ঠ 


Thursday, September 22, 2016

IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ ।।



IAFS Foundation এর মাসিক বৃত্তি চালুকরণ
নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদান করছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত                                                         খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।

পরম করুনাময় অসীম দয়াময় আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় ,অদ্য ২২/০৯/২০১৬ ইং রোজ বৃহস্পতিবার IAFS Foundation এর পক্ষ থেকে নটরডেম কলেজে অধ্যায়নরত ফয়সাল আহমেদকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে মাসিক শিক্ষাবৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান হোমিও চিকিৎসক ডাঃ স্বপন কুমার চক্রবর্তী।কমলাপুরে উনার চেম্বারে ফয়সালকে বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে আজ থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।বৃত্তি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন IAFS Foundation এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ্।

Tuesday, September 20, 2016

SPECIAL মালাই চা | TEA MASTER | TOKE BAZAR KAPASIA,GAZIPUR

টোক নয়নের বাজারের মালাই চা।অসাধারন স্বাদের চা ও মালাই !
চা বিত্রেতা তার শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় এক সাথে ১৫-২০ কাপ চা তৈরী করে।দেখতে ও মজা লাগে খাইতেও মজা লাগে!! 
যদিও মালাইটা রিযিকে জুটে নি এখনো।সামনে খাওয়ার ইচ্ছা আছে !!
ভিডিও : হাফিজুল মামার কাছ থেকে সংগ্রহকৃত !! (সর্বস্বত্ব সংগ্রহকৃত)
মালাইঃ ৫০ টাকা বাটি।
চাঃ৫/১০ টাকা।
অবস্হান : কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের টোক নয়নের বাজার।



Monday, September 19, 2016

সড়ক দূর্ঘটনা । প্রতিরোধ । উদ্যোগ । রায়েদ মধ্যপাড়া স্বপ্ন ক্লাবের উদ্যেগ !!


রায়েদ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মসজিদ।মুচীবাড়ি থেকে রায়েদ বাজার হয়ে-সিংহশ্রী যাবার রাস্তার পাশেই প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্হান।কিন্তু রাস্তায় যে স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে সেটা একেবারেই পরিকল্পনাহীন।এদিক দিয়ে মূলত সি এন জি,অটো,রিসকা,টমটম,মোটর সাইকেল চলাচল করে।রাস্তায় নেই কোন সতর্কবানী সম্বলিত সাইনবোর্ড।স্পিড ব্রেকারের ও রং উঠে গেছে।চোখে পড়ে না ! প্রায় সময় এখানটাতে ঘটে দূর্ঘটনা।ইতোমধ্যে এই স্হানে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা গেছেন ২ জন।অহত হয়েছেন অনেকে।এবারের কুরবানীর ঈদে বেশ কয়েকবার এখানে দূর্ঘটনা ঘটেছে।আহত হয়েছেন কয়েকজন।মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো ! ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অত্র এলাকার স্বপ্ন ক্লাবের তরুন সদস্য (হাফিজুল,জনি,বাপ্পী,তানজিল,সোহাগ)তাদের নিজেদের উদ্দ্যেগে স্পিড ব্রেকারে রং করার ব্যবস্হা করেন।
দূর্ঘটনা এড়াতে এটাও পর্যাপ্ত নয়।এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,যেন তারা অত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে পরিকল্পনা মোতাবেক সুন্দর করে রাস্তার দুইপাশে স্পিড ব্রেকার ও সাইনবোর্ডের ব্যাবস্হা করেন।

স্বপ্ন হবে বাস্তব-সংগঠনের স্লোগান নিয়ে অত্র এলাকার তুরুনেরা সুন্দর হাসি-খুশি ও আনন্দময় একটি সমাজের স্বপ্ন দেখেন!

Sunday, September 4, 2016

Beautiful Gazipur, Kaniya Time village

Sunday, July 17, 2016

Tajuddin Ahmad || তাজউদ্দীন আহমদ || বঙ্গতাজ : স্মৃতিবিজরিত বসতবাড়ি

ভিডিওটি মূলত তাজউদ্দীন আহমদ এর জন্মস্হান কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামের বাড়ির চিত্র নিয়ে তৈরী করার চেষ্টা করেছিলাম গত বছর।এবছর ২৩শে জুলাই এ মহান নেতার ৯১ তম জন্মদিবস।জন্মদিবসে নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভিডিওটি আবার আপলোডড করা হলো।

ক্যমেরা : বাপ্পী ও জনি

বিঃদ্রঃভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃস্টিতে দেখবেন আশাবাদী।।